
ইটভাটা আইন ভাংলে ১০ বছর জেল
ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো এবং উপরিভাগের মাটি ব্যবহারের শাস্তি বাড়িয়ে নতুন আইন করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যেখানে আগের আইনে এক বছর কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইট প্রস্তুত নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৩’ এর খসড়ায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, কাঠ পোড়ানো ও ‘উর্বর’ মাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শাস্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ইটভাটা নির্মাণের এলাকাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
ইটভাটায় উর্বর মাটি ( টপ সয়েল) ব্যবহার করলে প্রথমবার দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে ভাটা কর্তৃপক্ষকে দুই থেকে ১০ বছরের জেল এবং দুই থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।
অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা খুললে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; আবাসিক জনসবসতি, সংরক্ষিত এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বনভূমি , জলাভূমি ও গুরুত্বপূর্ন স্থাপনার এলাকায় ইটভাটা করলে একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়।
ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা, অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো আইন ১৯৯৩ এবং ২০০১ সালে পরিবর্তন করা হলেও পরিবেশ রক্ষায় আরো উদ্যেগী হতে আইনটি আবার নতুন করে করা হচ্ছে।
আগের আইন পার্বত্য এলাকার জন্য প্রযোজ্য ছিল না। এবার পার্বত্য এলাকাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ আইন কার্যকর হলে আগের আইনটি রহিত হয়ে যাবে বলে সচিব জানান।
রিপোর্ট সূত্রঃ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article616568.bdnews