পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছের সাথে কাটানো আলোকচিত্রীর ১৪ বছর

লিসান আসিব খান

একটি শিশু যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন আমরা তাকে অনেক যত্ন করি কিন্তু সেই শিশুটি যখন বয়সের ভারে নুইয়ে পরে তখন তার দেখভাল করার সময় পাই কি ?

আজ আপনি মাটির উপর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় পায়ের নিচে যে চারা গাছটিকে পিষে যাচ্ছেন , কখনও কি ভেবে দেখেছেন সেই ছোট্ট গাছটির ছায়ায় হয়তোবা একদিন আপনি বিশ্রাম নেবেন।

beth moon
বেথ মুন

বেথ মুন, সান ফ্রান্সিসকোর একজন আলোকচিত্রশিল্পী , গত ১৪ বছর ধরে বিশ্বের প্রাচীনতম গাছ অনুসন্ধান করে আসছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত । তিনি গহীন জঙ্গলে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে উঠা পুরাতন এবং বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া গাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে ।

একটি বিবৃতিতে বেথ মুন লিখেছেন. “পৃথিবীর বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম জীবিত সৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে আমি বিশ্বাস করি এই প্রাচীনতম গাছের তাৎপর্য অনেক, কেননা; এই প্রাচীনতম গাছ আমাদেরকে শিখিয়ে দেয় শত প্রতিকূলতার মাঝেও কিভাবে পরিবেশে টিকে থাকতে হয় ”

গত ৯ সেপ্টেম্বর ৬০ টি ছবি নিয়ে প্রকাশিত হয় “Ancient Trees: Portraits Of Time – শীর্ষক বইটি ।ancient trees portraits of time

 Ancient Trees: Portraits Of Time – শীর্ষক বইটিতে উঠে আসেছে শতাব্দী জুড়ে পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা প্রাচীনতম গাছের চিত্র । এই চোদ্দ বছরের প্রকল্প যাত্রা তাঁকে নিয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বহু অংশে । বিশাল আকার , বয়স এবং উল্লেখযোগ্য ইতিহাস সম্পন্ন গাছ স্থান পেয়েছে এই বইটিতে ।

বইটি সম্পর্কে বেথ মুন বলেন , “ এদের মধ্যে অনেক গাছে পথনির্দেশক স্তম্ভ বা কোনো চিহ্ন / স্বীকৃতি আছে ।প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রায়ই অপ্রত্যাশিত জায়গায় , অজ্ঞাত জায়গায় বেড়ে উঠছে আমাদের চোখের অন্তরালে সভ্যতা নাগালের বাইরে ।

কিছু কিছু প্রজাতির শুধুমাত্র বিশ্বের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিদ্যমান । যেমন-শুধুমাত্র মাদাগাস্কার দ্বীপে পাওয়া ওপেনার ছয় প্রজাতি আছে এবং ড্রাগনব্লাড গাছ শুধুমাত্র আরব সাগরে একটি ক্ষুদ্র দ্বীপে। এখানে এদের দেখা মেলা সত্যিই অবাক করার মতো। আমি যুক্তরাজ্য যেমন ক্যালিফোর্নিয়া পর্বতে bristlecone pines (প্রায় ৪,০০০ বছর বয়সী ) এর অনেক ছবি তুলেছি এবং অবাক করা বিষয় হল এই গাছ সাধারণত ছোট অবস্থায় পাওয়া যায় না যা একটি বীরত্বপূর্ণ উপস্থিতির প্রদর্শন ।”[print_gllr id=12522]

বেথ মুন এর আরও চিত্রকর্ম দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে :

www.bethmoon.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics