রেকর্ড তাপমাত্রায় দুর্বিষহ নগর জীবন!

মাহবুব রেজওয়ান সানি 

তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে যে একটু শীতল বাতাসে তৃপ্ত হবেন, সেই সুযোগ বুঝি এই গ্রীষ্মে আর পাওয়া গেল না। বাড়ি ফিরে বৈদ্যতিক পাখা চালু করলে তা থেকেও এখন গরম বাতাস বের হচ্ছে। আবার অনেক সময় তো বিদ্যুৎই থাকছে না। প্রচণ্ড গরমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। নিকট অতীতে এতোটা গরম নগরবাসীকে সহ্য করতে হয় নি। তবে গতকাল (২৫/০৪/২০১৪) ঢাকাবাসীর গরম নিয়ে যে অভিজ্ঞতা হল, বিগত ৫৪ বছরেও তা হয় নি।hot-weather

গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বিগত ৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। ১৯৬০ সালের পর এতো বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় নি ঢাকা শহরে। ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল।  

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। গতকাল যশোরের তাপমাত্রা ছিল  ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই গত বছরের তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।  গত বছর  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়   চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন গরমের এই দাপট অব্যাহত থাকবে। এরপরে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে করে গ্রীষ্মের দাবদাহ কিছুটা কমে আসবে বলে আবহাওয়াবিদগণ মনে করেন।

শহুরে জীবনে আমাদের যেমন ঘেমে-নেয়ে একাকার অবস্থা, গ্রামে তখন চলছে তীব্র খরা! এতে করে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বোরো চাষিরা পর্যাপ্ত পানির অভাবে এখনো তাদের আবাদ ঠিক মতো শুরুই করতে পারেন নি। এই কারণে কৃষকের মুখেও এখন হাসি নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics