৪৬ শতাংশ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানে না
বাংলাদেশের ৪৬ শতাংশ লোক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানে না। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ শতাংশ আর মহিলা ৫৫শতাংশ। প্রাথমিক বেসলাইন জরিপের মধ্যে বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরডাপে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন ইউনিট এর সমন্বয়কারী ড. ইকবাল কবিরের জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্রাথমিক বেসলাইন জরিপে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৭৩ জন লোকের ওপর এ বিষয়ে জরিপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এম বদরুদ্দোজা।
এ জরিপে আরো বলা হয়, প্রাকৃতিক দুযোগের কারণে ৪৫ শতাংশ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। ২ হাজার ৯১২ জন লোকের ওপর এ বিষয়টি নিয়ে জরিপ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, “পরিবেশ যারা দূষণ করছে অর্থাৎ কার্বন ছড়াচ্ছে, তারা অনেক শক্তিশালী। জলবায়ু পরিবর্তনের এ আন্দোলনের শুরুতেই তাদের বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে পরিবেশ বাঁচাতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।”
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের আন্দোলন না করা যাবে, ততক্ষণ পর্যবন্ত এ বড় সমস্যা সমাধান করা যাবে না। তাছাড়া খুব তাড়াতাড়ি সব জায়গায় সচেতন করা সম্ভব নয়। কারণ এটা শুরুর দিকে।”
মোদাচ্ছের আলী বলেন, “এ খাতে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ডোনাররা এ খাতে বরাদ্দ কম দেয়।”
এইডস এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এইডস প্রতিকারে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা আমাদের লাগে না। কিন্তু জলবায়ুর ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে তাতে আমাদের হয় না।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, পৃথিবী কখন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নির্দিষ্ট সময় না জানতে পারলেও একটা তুলনামূলক ধারণা দিতে পারে এ ধরনের বেসলাইন জরিপ।
জরিপের সুপারিশে বলা হয় জলবায়ু মোকাবেলা করতে হলে শিশু নারীর ওপর জোর দিতে হবে। গোত্রভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী এবং মতামত দানকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। জলবায়ু স্পর্শকাতর রোগের গতিবিধি জনসচেতনতার মাত্রা বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়ার সাথে জনগণকে খাপ খাওয়াতে হবে। এ ধরণের জরিপ সময় ও অবস্থাভেদে বার বার বের করা উচিত।
http://www.natunbarta.com/environment/