বাংলাদেশ-জার্মানি জলবায়ু চুক্তি সই
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে প্রায় ১১ মিলিয়ন ইউরো বা ১১২ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দেবে জার্মানি৷ এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের তিনটি উপকূলীয় জেলায় দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে৷
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল হাসান মাহমুদ আর জার্মানির পক্ষে সই করেন সে দেশের রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনসে৷
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের তিনটি উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালি, বরগুণা ও ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে৷ আর এ জন্য জার্মান সরকার তাদের আর্থিক সহায়তাদানকারী সংস্থা কেএফডাব্লিউ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১১ মিলিয়ন ইউরো দেবে৷ ২০১২-২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে৷ এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে টেকসই রাস্তা-ঘাট, সেতু ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ৷ অর্থনীতির বিকাশে ঐ এলাকার গ্রামীণ হাট-বাজারেরও উন্নয়ন করা হবে৷
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনসে বলেন, তাঁদের এই সহেযাগিতার উদ্দেশ্য হলো উপকূলের মানুষ যেন ঝড় জলোচ্ছ্বাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, বাঁচাতে পারে৷ আর দুর্যোগের পর যেন তার দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে দাঁড়াতে পারে৷
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, শুধুমাত্র যোগাযোগ বা আশ্রয়ের অবকাঠোমো উন্নয়নই নয়, উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন৷ তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগ ঘুরে তাঁর মনে হয়েছে যে সেখানকার জমিতে বছরে তিনটি সফল ফলান সম্ভব৷ এর জন্য প্রয়োজন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ৷ জার্মানি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করছে৷ তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূর করতেও এই নতুন প্রকল্প ভূমিকা রাখবে৷
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল হাসান মাহমুদ এই সহায়তার জন্য জার্মানিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ উপকূলের তিনটি জেলায় এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে৷ এবং এই সহায়তা উপকূলীয় মানুষের কষ্ট কমাতে সহায়তা করবে৷
ইকবাল হাসান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে জার্মানি অনুদান, কারিগরি সহায়তা এবং সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে৷ এরমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিচলন অন্যতম৷
সূত্রঃ www.dw.de