জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিতে বাংলাদেশ 'হট স্পট'
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে বিভিন্ন সংগঠন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে।
মানব বন্ধনে ধরিত্রী রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর নীতি এবং এতদসংক্রান্ত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দশ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
মানব বন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তরা বলেন, গ্লোবাল ক্লাইমেট ঝুঁকি সূচক ২০১২ অনুযায়ী, আগামী ২০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে অবস্থানকারী তিনটি দেশ হলো বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং হন্ডুরাস। এছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবল মনিটর রিপোর্ট ২০১১ তে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে অবস্থানরত ‘হট স্পট’ হিসাবে বাংলাদেশকে উল্লেখ করে শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে অতিরিক্ত গড়ে ৬ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হলো সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং এর ফলে নদী ও জলাশয়ের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে তা অনেকাংশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার আশংকাও প্রবল। উল্লেখ্য, এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অবস্থানকারী ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
এ প্রেক্ষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ২য় মেয়াদে কিয়োটো চুক্তি বাস্তবায়নে উন্নত দেশসমূহের অনীহা এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের নিশ্চয়তা প্রদান না করায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
টিআইবি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গভার্নেন্স নেটওয়ার্ক (সিএফজিএন), গ্রিন ভয়েস এর আয়োজনে এই মানব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. এম. এ. মতিন, টিআইবির জলবায়ু অর্থায়ন সুশাসন প্রকল্পের সমন্বয়ক এম. জাকির হোসেন খান, এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।
রিপোর্ট সূত্রঃ http://www.rnews24.com/index.php?ref=MjBfMDRfMjJfMTNfMV8xNF8yMjIz