বহু যুগ ধরেই খোয়াই নদীর নাব্যতার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি

বাপা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার এর পরামর্শক সভায় বক্তারা

বহু যুগ ধরেই খোয়াই নদীর নাব্যতার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রায় ২৫ বছর আাগে নির্মিত খোয়াই বাঁধের উল্লেখযোগ্য কোনও মেরামত কাজও হয়নি। কামড়াপুর তেতৈয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ক্ষয়ে গেছে। তাই গত ১৯ জুন ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চুনারুঘাটÑশায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ শহরবাসীর মধ্যে। খোয়াই নদীর এ সংকট থেকে পরিত্রাণে আমাদের স্পল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

গত ৮ জুলাই শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা হবিগঞ্জ শাখা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত “খোয়াই নদীতে ঢল সংকট উত্তরণে করণীয়” শীর্ষক পরামর্শক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

বাপা হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনৈতিক রোটারিয়ান শরীফ উল্লাহ ও বাপা জেলা শাখার সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি।

সভায় আলোচনায় অংশ নেন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক ফজলুর রহমান লেবু, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আওয়াল, রোটারি ক্লাব অব হবিগঞ্জ সেন্ট্রালের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, ব্যকস এর সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ, সাবেক পৌর কমিশনার হাবিবুর রহমান, প্রকৌশলী এম এ মুমিন চৌধুরী বুলবুল, শিশু সংগঠক বাদল রায়, হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাস্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট দুলাল সূত্রধর, রোটারী কèাব অব হবিগঞ্জ খোয়াইয়ের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আব্দুল বাকী মোঃ ইকবাল, এডভোকেট বিজন বিহারী দাস, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নিয়ন, ব্যাংকার সাব্বির আহমেদ মিঠু, সংস্কৃতিকর্মী আছমা খানম হ্যাপী, কবি আবদুল্লাহ আবীর, ব্যাংকার নোমান মিয়া, এডভোকেট শিবলী খায়ের, স্টুডেন্ট ফর ফ্রেন্ডশিপ সোসাটির সমন্বয়কারী আব্দুর রকিব রনি, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবন প্রমুখ। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বাপা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল। সভা সঞ্চালনা করেন বাপা জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকী হারুন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, খোয়াই নদীর এবারের বানে বাঁধের অনেকগুলো লিকেজ শনাক্ত করা গেছে। কিছু স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাল্লা থেকে সুজাতপুর পর্যন্ত বাঁধকে সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বালু উত্তোলনকারীরা যদি নিয়ম ভঙ্গ করে বালু তুলেন, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। খোয়াই নদীর সংকট উত্তরণে সকলের সহযোগিতা চাই।

সভায় নিম্ন বর্ণিত দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়ঃ
১। খোয়াই নদী দখল করে নদীর তলদেশ শহরের গড় উচ্চতা থেকে দশফুট গভীরে নিতে হবে।
২। খোয়াই বাঁধের উভয় পাড়ে গজিয়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।
৩। উভয় পাড়ে খোয়াই বাঁধের দুর্বল ও ক্ষয়ে যাওয়া অংশগুলো মেরামত করতে হবে।
৪। খোয়াই নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
৫। নদীর তীরে নিক্ষিপ্ত বর্জ্য অপসারণ ও বর্জ্য নিক্ষেপ করা বন্ধ করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics