সুন্দরের হিংস্রতা আরেক নাম আগ্নেয়গিরি
মানুষ সুন্দরের পূজারি। সুন্দরের পেছনে তাই অবিরত ছুটে চলা। কিন্তু অনেক সময় সে সুন্দর হয়ে পড়ে ভয়ঙ্করের চেয়েও হিংস্র। তেমনি এক সুন্দরের হিংস্রতার নাম আগ্নেয়গিরি। পৃথিবীতে কিছু পাহাড় আছে যা থেকে উত্তপ্ত গলিত পাথর, ছাই, আর গ্যাস বের হয়। সেই গলিত পাথর, ছাইগুলোর তাপমাত্রা এতটাই বেশি থাকে যে, ওগুলো টকটকে আগুনের মতোই হয়ে থাকে। পৃথিবীর ভেতরের দিকে যে গ্যাসগুলো জমা হয়, সেগুলো আবার অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত চাপের ফলে পৃথিবীর ফাটল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর বের হওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসে ভেতরে জমে থাকা গলিত লাভা (lava)। যার তাপমাত্রা থাকে ৭০০-১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পর্যন্ত দুনিয়াজুড়ে প্রায় ১৫১০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আবিষ্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে ৮০টি বা তার চেয়ে বেশি আবার সমুদ্রের নিচে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে প্রতি দশজনের একজন বাস করে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির আওতায়। যদিও এটা বিপজ্জনক, তারপরও মানুষ আগ্নেয়গিরির কাছেই থাকে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, গত ৫০০ বছরে কমপক্ষে ২,০০,০০০ লোক মৃত্যুবরণ করেছে এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে। অথচ এত ভয়ানকের পরও মানুষ থাকতে চায় আগ্নেয়গিরির কাছে। কারণ আগ্নেয়গিরির ঢালে থাকে, উন্নত এবং উর্বর মাটি, যাতে ফসল ভালো হয় খুব। আর অনেক পাহাড়-পর্বতের সৃষ্টিই হয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপ তৈরি হয়েছে পাঁচ পাঁচটি পর্বত নিয়ে; যার ২টিই আগ্নেয়গিরি!
তথ্যঃ ইন্টারনেট