প্রাণীবৈচিত্র্য রক্ষায় অনন্য সিদ্ধান্ত নিল শাবিপ্রবি
সম্প্রতি শাবিপ্রবি’র হল গুলোতে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়েছে জানিয়ে হলগুলোর হল প্রভোস্টদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে হলের আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে ফেলার জন্যে অনুরোধ জানানো হয়। ইতোমধ্যে এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্কার কার্যক্রম নেওয়া হয়। যদিও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের কার্যক্রম হিতে বিপরিত ঘটায়। একই সাথে তা প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
তবে এর প্রতিবাদে গত সোমবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ ইসফাকুল হোসেন বরাবর এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ ধরনের কার্যক্রমের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক রাফসান হোসাইন জানান, ‘এভাবে বর্ষা মৌসুমে ঝোপঝাড়/আগাছা পরিস্কার করলে বাস্তবিকভাবে কোনো লাভ হবে না। এতে করে সেখানে প্রজননের জন্যে আসা সাপগুলো আবাসস্থলের সন্ধানে আশ্রয় নিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। যা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করতে পারে। একই সাথে এভাবে সাপ ঢুকে পড়লে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সাপ গুলোকে মেরে ফেলতে পারেন যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্যের জন্যে হুমকীস্বরূপ” ।
তাহলে কী করলে এর সমাধান সম্ভব? অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “যদি আমরা শুকনো মৌসুমে হলের আশপাশ পরিস্কার করে রাখি এবং তা যদি পরবর্তী বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত পরিস্কার রাখা যায় তাহলে এখানে সাপের উপদ্রব হবে না। একই সাথে শুকনো মৌসুমের পরিস্কার কার্যক্রম গ্রহন করলে তখন সাপের আনাগোনা অনেকখানি কমে যাবে। আর এ কারণে সাপগুলোর পক্ষে হলে আশ্রয় নেওয়া বা হলে যাওয়ার কারণে যাপের মৃত্যুজনিত ঘটনাও অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্যের জন্যে ইতিবাচক হবে”।
এ ব্যাপারে জনাব মোহাম্মদ ইসফাকুল হোসেন জানান, “যদিও আমরা ইতিমধ্যে কিছু কার্যক্রম গ্রহন করেছিলাম, কিন্তু গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আমরা ২ মাস অপেক্ষা করে শুকনো মৌসুমে পরিস্কার কার্যক্রম গ্রহন করব”
এ ব্যাপারে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এস এম তানভীর আহমদ জানান, “আমরা ক্যাম্পাসে এ নিয়ে জরিপ কার্যক্রম করেছি, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো বিষধর সাপ পাইনি”।
এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম