ঘূর্ণিঝড় পর্বঃ ৩ (শ্রেণীবিভাগ)
সাতটি বেসিনেই বাতাসের গতিবেগ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়কে কতগুলো শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। আটলান্টিক এলাকার জন্য, প্রাথমিক অবস্থায় বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ৬২ কি.মি.-র নীচে থাকে, তখন একে শুধু নিম্নচাপ (Tropical depression) বলা হয়। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি.-এ উন্নীত হলে এটিকে একটি নাম দেয়া হয় এবং ঘন্টায় ৬২ কি.মি. থেকে ১১৭ কি.মি. ব্যবধানে এটিকে একটি ঝড় বা Tropical storm বলা হয়। বাতাসের গতিবেগ যখন ঘন্টায় ১১৭ কি.মি.-এর বেশী হয়, তখন এটি হারিকেন পর্যায়ে উন্নীত হয়। বাতাসের তীব্রতা এবং ধ্বংসক্ষমতা অনুযায়ী হারিকেনকে আবার এক থেকে পাঁচ মাত্রার ৫ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এটি আবিষ্কারকের নামানুসারে সাফির-সিম্পসন স্কেল নামে পরিচিত।
ভারত মহাসাগর এলাকা এবং বাংলাদেশের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণীবিন্যাস ভিন্ন। এখানে নিম্নচাপকে আবার শুধু নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি. থেকে ১১৭ কি.মি.-এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় এবং প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় নামে আরো দুই ভাগ করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১১৭ কি.মি.-এর বেশী হলে যে নামটি ঠিক করা হয়েছে তা বেশ লম্বা- হারিকেন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়।
জুনায়েদ তানভীর ২৮/০৭/২০১৩
এনভাইরনমেনটমুভ ডেস্ক