শাবিপ্রবি'র প্রকৃতিতে অবমুক্ত হল আরো ১৮টি বক পাখি

আজ বিকালে শাবিপ্রবি’র কিলোরোডের পাশের জলাধারে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি ও বাপা সিলেট শাখার যৌথ উদ্যোগে অবমুক্ত করা হয় ১৮টি বক পাখি।এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র মাধ্যমে ক্যাম্পাসে মোট ২৬ টি বক পাখি অবমুক্ত করা হলো।
২০ জোড়া কানি বক। প্রতি জোড়া ২০০ টাকা। বিক্রির জন্য বাসায় ফেরি করছিলেন দুই জন বিক্রেতা। শুক্রবার বিকেলে পাঠানটুলা আল সাফা আবাসিক এলাকায় পরিবেশকর্মীরা এ ঘটনা দেখে বিক্রেতাকে কানি বকের ঝাঁপিসহ আটক করেন। পরে তাঁদের দিয়েই ২০ জোড়া কানি বক অবমুক্ত করা হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়ে। 
আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও পাখি শিকার ও বিক্রির প্রবণতায় জনসচেতনতা বাড়াতে এভাবেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে  জানান পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। 
বাপা জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই এলাকায় ২০ জোড়া কানি বক নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করছিলেন দুই বিক্রেতা। সংবাদকর্মী মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর এ দৃশ্য দেখে পরিবেশকর্মীদের খবর দেন। বিক্রেতা দুজনকে আটক করে পরে তাঁদের নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়ে তাঁদের হাত দিয়ে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিণ এক্সপ্লোর সোসাইটির সভাপতি অনিমেষ ঘোষসহ পরিবেশকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাচায় বদ্ধ অবস্থা এবং ফাদ পেতে পাখিগুলোকে ধরার কারনে অধিকাংশ পাখি অসুস্থ ছিল, এদের মধ্যে ২ টি পাখি মারা যায়। তবে মুক্ত  অবস্থা ফিরে পেয়ে পাখিগুলো আবার সচল হয়ে উঠে। IMG_7626
এ ব্যাপারে বাপা সিলেট শাখা’র সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘২০ জোড়া কানি বক খাঁচা থেকে বের করার পর পরই উড়ে নিরাপদে ফিরে গেছে। ধরা না পড়লে এগুলো নিশ্চিত রসনা বিলাসের বলি হতো’’।
এ সময় তিনি পাখি বিক্রেতা সাজ্জাদ আহমাদ’র ছেলে’র চিকিৎসা প্রয়োজনে যাবতীয় সহযোগীতা করবেন বলে জানান। উল্লেখ্য ছেলের চিকিৎসা করানোর জন্যে তিনি এই পাখিগুলো নগরীতে নিয়ে আসেন বিক্রির জন্যে।
গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সভাপতি অনিমেষ ঘোষ বলেন, ‘ পাখিগুলো যাতে ক্যাম্পাসে নিরাপদ থাকে সেই ব্যাপারে  আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব ‘ ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় ক্যাম্পাসে পাখির নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম ডেস্ক
আরো দেখান

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics