যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে বালু উত্তোলন
বগুড়ার ধুনট উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাসহ তিন ব্যক্তি এ কাজে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুকুরিয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বালু ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরকারি দলের নেতা থাকায় প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলনকারীদের খননযন্ত্র সরিয়ে অন্য এলাকায় দেওয়া হয়েছে।
পাউবোর বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের সামনে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০০ মিটার নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। উপজেলার শেষ সীমানা থেকে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা সদর পর্যন্ত ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের স্থান থেকে কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামসহ তিন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করছেন।
গত শুক্রবার বেলা একটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুরিয়া গ্রামের ৮০০ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকায় নদীর পাড় থেকে ২০-২৫ ফুট দূরে তিনটি খননযন্ত্র দিয় বালু তোলা হচ্ছে। পাইপ দিয়ে এই বালু পাড় থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে ফেলা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবদুস সালাম বলেন, ‘উত্তোলন করা বালু সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয় এবং কিছু বালু বাইরে বিক্রি করা হয়। এ কারণে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি।’
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো (০৯/০৫/২০১৩)