বন্যা প্রবণ ও ভাঙ্গন এলাকায় ১৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র হবে
দেশে বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় ১৫৬টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গতকাল এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
“অনুমোদিত বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়)” প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বরিশাল বিভাগ ব্যতীত দেশের ৬টি বিভাগে ৪৩টি জেলার ১৫৪টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিদ্যমান ২৪৮৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং ১৫০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বিবেচনায় নতুন আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মিতব্য আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ সাধারণ মৌসুমে স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বুয়েটের অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ইতিপূর্বে গঠিত টাস্কফোর্স প্রণীত “মাস্টার প্লান ফর মাল্টিপারপাস সাইক্লোন এন্ড ফ্লাড শেল্টার” এর আলোকে প্রকল্পটি প্রণীত হয়েছে।
তিনি জানান, সভায় ‘৬২০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টস স্থাপন’ নামের অপর একটি প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধিত এ প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। এই ব্যয় অনুমোদিত মূল প্রকল্প ব্যয়ের তুলনায় ৮২৬ কোটি টাকা বা ১২ শতাংশ কম।
গতকালকের সভায় মোট ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এতে প্রায় ৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে মেটানো হবে। অন্যান্য প্রকল্প হলো ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উত্পাদন প্রকল্প, ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ণি বাঁওড় উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম সংশোধন), ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা শহরের শাসন গাছায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল রেলক্রসিং-এর উপর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজাপুর-কাঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথরঘাটা সড়কের ৩২তম কিলোমিটারে আমুয়া বিশখালী নদীর উপর ২১৭ দশমকি ৬৮ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প এবং ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় দুইটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ একনেক-এর অন্যান্য সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১২/০৯/২০১৩