কক্সবাজারে এক সপ্তাহে বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু
নতুন বাংলা বছরের সাথে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত ও বৃষ্টি। বৃষ্টি অনেকটা স্বস্তিদায়ক হলেও বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়া মারাত্মক প্রাণহানির ঘটনা ঘটাচ্ছে। বজ্রপাতে গত ৩ সপ্তাহে কক্সবাজার জেলায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ৩ জেলের মৃত্যু ছাড়াও এখনও ৫৩ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তবে ঝড়ের কবল থেকে বাঁচার সহজ কোন উপায় না থাকলেও কয়েকটি কৌশল প্রয়োগ করে বজ্রপাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়।
পদার্থ বিজ্ঞানীরা জানান, বায়ুমন্ডলে ভাসমান মেঘমালা পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হলে বিদ্যুত্ উত্পন্ন হয়। মেঘের সংঘর্ষে উত্পন্ন বিদ্যুত্ ৩০ কোটি ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ভূপৃষ্ঠের সাথে মিশে যাওয়ার সময় গাছ, মানুষ, অন্য কোন প্রাণী বা বস্তুতে প্রবাহিত হতে পারে। বুঝতেই পারছেন, মাত্র ২২০ ভোল্টে স্পৃষ্ঠ হয়ে প্রতিবছর শতাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে, আর ৩০ কোটি ভোল্ট! তবে এই উচ্চ শক্তির বিদ্যুত্ থেকে বাঁচার কৌশলও বিজ্ঞানীরা রপ্ত করেছেন। বজ্রপাতকালে খোলা মাঠে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে বজ্রপাতের বিদ্যুত্ মাটির দিকে নেমে আসার সময় তাকে মাধ্যম বানায়। তাই বজ্রপাত চলাকালে কতিপয় সাবধানতা অবলম্বন করুন। এর মধ্যে উঁচু জায়গায় বা খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে না থাকা। খোলা জায়গায় থাকলে ছাতা ব্যবহার না করা ও গাছের নীচে আশ্রয় না নেয়া। এছাড়া বাইরে হাঁটার সময় বজ্রপাত দেখা দিলে দ্রুত মাটিতে বসে পড়বেন। বাড়িতে আশ্রয় নেবেন। তবে ঘরের বাইরে উঁচু এন্টেনা থাকলে তা টিভি থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাটির সংস্পর্শে রাখবেন। খোলা মাঠে আশেপাশে উঁচু বৃক্ষবিহীন এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করলে সেটিও বজ্রপাতে আক্রান্ত হতে পারে। ভবনের উপরে একটি খুঁটির সাথে লোহার তার স্থাপন করে তা মাটির সাথে সংযুক্ত করে দিলে উঁচু ভবনও বজ্রপাত থেকে রক্ষা পায়।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক (১০/০৫/২০১৩)