বিপন্ন আজ ব্ল্যাক জাগুয়ার……..

ব্ল্যাক জাগুয়ার পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছে। যে কয়টি অবশিষ্ট আছে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাজন। আমাজনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং ভয়ঙ্কর প্রাণী জাগুয়ার তাই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

জাগুয়ারের খাদ্য তালিকায় আছে হরিণ থেকে শুরু করে ইঁদুর। শিকারে দক্ষ এই প্রাণী বাঘের মাসতুতো ভাই বললেও ভুল হবে না। জাগুয়ার প্রায় ৮৭ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন প্রাণীকে যোগ করে নিয়েছে তার খাদ্য তালিকায়। দুর্ধর্ষ এই প্রাণী চলার পথে পড়লে আস্ত মানুষকে শিকার করতেও ছাড়ে না। পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েও এ প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। দক্ষ জাগুয়ার অনায়াসে সাঁতার কেটে শিকারকে ঠিকই কাবু করে ফেলে। ঝগড়া বেধে গেলে জাগুয়ারের চেয়ে হিংস্র প্রাণী আমাজনে মেলা ভার। black-jaguar-7383-hd-wallpapers

তবে আমাজনের এই আশ্চর্য সুন্দর কিন্তু ভয়ঙ্কর প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে। তাই বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছেন একে রক্ষা করার। এরা পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী এবং হিংস্র প্রাণী। দক্ষিণ আমেরিকায় এটি পরিচিত জাগুয়ার নামে। আফ্রিকা এবং এশিয়াতে ও পাওয়া যায় এদের। আর উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে এরা পরিচিত পুমা হিসেবে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, জীবিত বাঘদের মধ্যে এরাই সবচেয়ে দ্রুতগতির এবং এদের শিকারের পিছু লেগে থেকে তাকে মারার আগ পর্যন্ত তাড়া করার দারুণ গুণ রয়েছে। জাগুয়ারকে নিয়ে ভয় পাওয়ার আরেকটি কারণ হলো এদের হিংস্রতা। সাধারণত বাঘ জাতীয় প্রাণীরা আক্রমণাত্মক হয় না। শুধু ক্ষুধা পেলেই তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে দেখা যায়। সেদিক থেকে জাগুয়ার অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। ক্ষুধা না পেলেও জাগুয়ার যদি মনে করে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের বা তার আবাসস্থলের দখল নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হচ্ছে তাহলে সে শিকারের দিকে ছুটে যায়। অনেক সময় তার শিকারের তালিকায় আরও হিংস্র প্রাণীরাও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে। সেক্ষেত্রে জাগুয়ার মোটেও ছাড় দিতে রাজি নয়। বরং আক্রমণে সেই এগিয়ে থাকে। এসব কারণ ছাড়াও জাগুয়ারের খাদ্য তালিকা ক্রমশ ছোট হয়ে আসায় তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। jaguar

জাগুয়ারের অস্তিত্ব বাঁচাতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমাজন থেকে একবার তারা হারিয়ে গেলে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব হবে না এই মত সবারই। আমাজনের এ ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাণীটির দিন শেষ হয়ে আসছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। এখন সময় বলে দেবে তাদের ভবিষ্যৎ কী।

সূত্রঃ প্রাণীজগতের অজানা রহস্য নামক জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ থেকে লেখাটি সংগৃহীত।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics