পীরগঞ্জে আলুরবাম্পার ফলন
রংপুরের পীরগঞ্জে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের চেয়ে আলুর দামও ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক। আলু চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। চলতি মওসুমে আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া ও উপযুক্ত সময়ে বীজ রোপণ, সঠিক সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের কারণে গত বছরের চেয়ে আলুর ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
জানা গেছে, চলতি মওসুমে উপজেলায় ১০টি উন্নত জাতের প্রদর্শনীসহ সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এ উপজেলার কৃষকরা সাধারণত ডায়মন্ড, ইন্দুরকানী, কার্ডিনাল, সূর্যমুখী, গ্রানোলা ও শিল বিলাতী আলু বেশি চাষাবাদ করে। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘এটলাস’ জাতের আলুর প্রদর্শনী করা হয়। যাতে কৃষক আলুর ফলন পেয়েছে শতকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মণ। যা অন্যান্য জাতের আলুর চেয়ে শতকে প্রায় ১ মণ বেশি। ওসমানপুর গ্রামের কৃষক মোজাহার আলী জানান, তিনি ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ১ একর জমির আলু বিক্রি করে খরচ বাদে ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। আরও আড়াই একর জমির আলু এখনও তুলেননি। তিনি আরও জানান, ক’বছর আগেও তার সংসারে অভাব-অনটন ছিল। কিন্তু ২/৩ বছর হলো আলু চাষ করে সংসারের অভাব-অনটন ঘুচিয়ে এখন স্বাবলম্বী। তার মতো মনসুর, ময়নুল ও মতিয়ারসহ অনেকেই এখন স্বাবলম্বী।
এদিকে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আলু তোলা শুরু হয়েছে। আলু তোলার কাজে নারী শ্রমিকের কদর বেশি হলেও মজুরি পুরুষ শ্রমিকের অর্ধেকেরও কম। এ কাজেও নারী শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। উপজেলার দুরামিঠিপুর মাঠে নারী শ্রমিকদের সাথে কথা হলে মজুরি বৈষম্যের এই চিত্র উঠে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নারী শ্রমিকরা বলেন, হামরা কাজে আসি আগে, যাই সবার শ্যাষে। অথচ হামাক দেয় ৭০/ ৮০ ট্যাকা। আর পুরুষ শ্রমিককে দেয় ২০০/২২০ টাকা। এই বৈষম্যের অবসান দাবি করেছে নারী কৃষি শ্রমিকরা। http://ittefaq.com.bd/