টর্নেডো কীভাবে তৈরি হয়?
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ টর্নেডো মাত্র কয়েক মিনিটেই একটি সীমিত এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা এমনকি টিউবওয়েল পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এ সময় হাতির শুঁড় বা ফানেলের আকৃতির একটি ধূসর রঙের টর্নেডো মাটির ওপরের সবকিছু প্রবল বেগে আকাশের দিকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা যেমন স্ট্র দিয়ে গ্লাসের কোমল পানীয় টেনে নিই, টর্নেডো তেমনি সবকিছু ওপরে টেনে নেয়। প্রশ্ন হলো টর্নেডো এত শক্তি কোথায় পায়? পায় মেঘ থেকে। সেখানে শক্তি জমা হয় একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায়। প্রচণ্ড গরমে কোনো এলাকার জলীয়বাষ্পভরা বাতাস নিম্নচাপে হালকা হয়ে ওপরে উঠে ঠান্ডা হয়। বাতাসের জলীয়বাষ্প জমে মেঘ হয়। এই রূপান্তরের সময় প্রচুর তাপ বের হয়। এই তাপশক্তি বাতাসের ওপরে ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় গতিশক্তিরূপে কাজ করে। খুব গরমে বাতাস দ্রুত ওপরে উঠতে থাকলে নিচে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। তখন চারপাশ থেকে ঠান্ডা বাতাস ছুটে আসতে থাকে। সেই বাতাস এসেই আবার গরম হয়ে ওপরে উঠে যায়। এভাবে ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। এই বাতাস ঘূর্ণির আকারে ওপরে উঠতে থাকে। গরমকালে ঘূর্ণিঝড় প্রায়ই হয়, তবে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে তা টর্নেডোর রূপ নেয়।
সূত্রঃ প্রথম আলো, ছুটির দিনে, ৩০,০৩,২০১৩