চিতার শিকার রহস্য
শিকারে চিতার দক্ষতার উৎস কেবল গতি নয়, বরং গতির হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ। নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, শিকারকালে পৃথিবীর দ্রুততম প্রাণীটি নিজের সর্বোচ্চ গতির ব্যবহার খুব কমই করে থাকে। আর প্রয়োজন অনুসারে নিমেষেই গতি পরিবর্তন করতে পারে এই বাঘ।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি শক্তিতে গতিবৃদ্ধি করতে পারে চিতা। দৌড়বিদ ও শিকারি প্রাণীর জন্য গতিই শেষ কথা নয়।
যুক্তরাজ্যের হ্যাটফিল্ডে অবস্থিত রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যাপক অ্যালান উইলসন এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ও জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা পাঁচটি চিতার ওপর এক বছরব্যাপী পর্যবেক্ষণ চালান। এতে দেখা যায়, সামর্থ্যের প্রায় অর্ধেক গতি ব্যবহার করেই চিতা অধিকাংশ শিকার সম্পন্ন করে। এই প্রাণী প্রতি লাফে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি বাড়াতে পারে এবং এভাবে নিমেষেই সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছাতে পারে।
চিতার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার বলে প্রায়ই উল্লেখ করা হয়।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো (১৪/০৬/২০১৩)