বিলের বুকে নদী

downloadবোকড় বিল অনেক বড়। তার চারপাশ ছুঁয়ে আছে গ্রাম। এদিকে বিলের বুক চিরে ছুটে চলেছে মুক্তেশ্বরী নদী। নদী আর বিলের অপূর্ব মিতালির এ দৃশ্য অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য। যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তে বিল বোকড় ও মুক্তেশ্বরী নদীর অবস্থান। যশোরের দুঃখ ভবদহ স্লুইস গেট। এই স্লুইস গেটের কারণে বুকে পলি জমে মরে গেছে এলাকার অনেক নদী। বুকে পলি জমে মুক্তেশ্বরীর। একসময়ের সোতস্বিনী মুক্তেশ্বরী এখন আর আগের মতো নেই। জলাবদ্ধতাও ছিল একটা সময়। পরে পুনঃখনন করা হয় মুক্তেশ্বরীকে। দুই তীরে নির্মাণ করা হয় বেড়িবাঁধ। ধীরে ধীরে প্রাণ পেতে থাকে মুক্তেশ্বরী। নদীর বুক বিল থেকে উঁচু হয়ে পড়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এলাকার অনেক বিলের। সেই থেকে শুরু জলাবদ্ধতার। ভবদহ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিল বোকড়। সর্বগ্রাসী জলাবদ্ধতায় আকণ্ঠ ডুবে যায় বোকড়।
বর্ষায় নতুন রূপে সাজে বিল বোকড়। সবুজ ধানগাছে ছেয়ে যায় গোটা বিল। ধানগাছের ফাঁকে ফাঁকে চাঁই পেতে মাছ ধরে জেলে। ডিঙি নৌকায় করে বিলে গিয়ে পাতা চাঁই থেকে মাছ বের করার দৃশ্য অপরূপ হয়ে ওঠে সূর্য ডোবার সময়। মুক্তেশ্বরীর স্বচ্ছ পানিতে খেলা করে আকাশ। দুলতে থাকে ঢেউয়ের তালে তালে। বিকেলে মুক্তেশ্বরী আবির্ভূত হয় এক অনন্যরূপে। সূর্য তার রঙিন আভা ছড়িয়ে দেয় নদীর বুকজুড়ে। নদীতে জাল ফেলে জেলেরা। সে সঙ্গে মনের আনন্দে গলা ছেড়ে গানও গায়। দখিনা বাতাসে নদীর তীর ধরে হাঁটলে পুলকিত হয়ে উঠবে যে কারো মন। ডিঙি নৌকায় করে নদীতে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করা যায় বিকেলের নৈসর্গিক দৃশ্য। বরং রং মুক্তেশ্বরীর বুকে ঢেলে দিয়ে পশ্চিমাকাশে আস্তে আস্তে অস্ত যেতে থাকে সূর্য।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics