হবিগঞ্জে বন্যা তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে হবিগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে খোয়াই নদীর শহর রক্ষা বাঁধ। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড শহরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেছে। স্থানীয় জনসাধারণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে প্রহরা বসিয়েছে।
বানিয়াচংয়ের সুজাতপুর ও লাখাই উপজেলার চরগাঁও গ্রামে খোয়াই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বানিয়াচং ও লাখাইর কয়েক হাজার হেক্টর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। খোয়াই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়ায় হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, সুজাতপুর ও চরগাঁওয়ে নদীভাঙনে কৃষকদের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে শহর এলাকায় নদীভাঙনের কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে চুনারুঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর বোরো ফসল। তলিয়ে গেছে আউশ বীজতলাও। সুতাং নদীর পানিতে শানখলা ও পাইকপাড়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের বোরো ফসল এবং খোয়াই নদীর পানিতে রাণীগাঁও, দেওরগাছ, সাটিয়াজুরী, মিরাশী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়া করাঙ্গী নদীর পানিতে সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামের ফসল এখন পানির নিচে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ১৭০ হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শায়েস্তাগঞ্জের নূরপুর ইউনিয়নের পুরাসুন্দা, নছরতপুর, বারলাড়িয়ায় প্রায় ৫০ হেক্টর ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের লাদিয়া, মড়রা, কাজিরগাঁও, কদমতলী, ডাকিজাঙ্গালে ১২০ হেক্টর জমির বোরো ধান পানির নিচে। এতে এসব এলাকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ২ হাজার হেক্টর বোরো, ৫০০ হেক্টর বীজতলা, ৮০০ হেক্টর সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শতাধিক পুকুর তলিয়ে গেছে।
সূত্রঃ বণিক বার্তা ১০/০৫/২০১৩