স্টোনহেঞ্জের রহস্য ভেদ
কারো মতে এক বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনাস্থল, কারো মতে প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়ন কেন্দ্র, কেউ বা বলেন প্রাচীন মানুষদের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের ঠিকানা স্টোনহেঞ্জের ‘রহস্য’ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতোবিরোধ অনেক দিনের। সাম্প্রতিক এক আবিষ্কার এই বিরোধিতার মাত্রাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর মতে, স্টোনহেঞ্জের সূচনা হয়েছিল বিশাল আকারের এক সমাধিক্ষেত্র হিসেবে। রেডিও-কার্বন ডেটিং স্টোনহেঞ্জের আনুমানিক ‘বয়স’ জানিয়েছে ২৪০০-২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে খোঁজ পাওয়া হাড়গোড়গুলো আরো পাঁচশ’ বছরের পুরনো বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। অর্থাৎ খ্রিস্ট জন্মের প্রায় তিন হাজার বছর আগে সমাধিক্ষেত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হতো স্টোনহেঞ্জ। হাড়গুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের আরো ধারণা কোনো এক বিশেষ গোষ্ঠী বা পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র হিসেবেই স্টোনহেঞ্জ ব্যবহৃত হতো। এখানে পাওয়া ৬৩টি কবরস্থ দেহের হাড়গোড় পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের অনুমান এগুলো প্রায় তিন হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে কবর দেয়া হয় এবং সেগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করা ছিল ব্লু স্টোন দিয়ে। তবে পরবর্তী কালে তৈরি হওয়া ‘আধুনিক’ স্টোনহেঞ্জটিকে উপাসনাস্থল বলার থেকে প্রাচীন ব্রিটেনের মিলনস্থল বলতে চান বিজ্ঞানীরা।
সূত্রঃ দৈনিক মানবকণ্ঠ ২৪/০৬/২০১৩