সামাজিক প্রাণী ডলফিনকে নিয়ে তথ্যচিত্র
ডলফিন একটি বুদ্ধিমান প্রাণী এরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। শব্দ কিংবা দেহের অঙ্গভঙ্গি দিয়ে ভাব আদান-প্রদানে প্রাণীটি অত্যন্ত পারদর্শী।
প্রত্যেকটি ডলফিন আলাদাভাবে শব্দ শনাক্ত করতে পারে। প্রাণীটি নাকি একে অপরের নাম ধরে ডাকে! জন্মের সময়ই একটা নির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে নাম রাখা হয়। আর এ নাম বলবৎ থাকে ১০ বছর পর্যন্ত।
ডলফিন মানুষের মতোই সামাজিক প্রাণী। শুধু মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে নয়, রাজ্যের সব জাতিগোষ্ঠী নিয়েই হাজার হাজার ডলফিন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায়।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, কয়েক লাখ বছর আগে ডলফিনের পা ছিল। বিবর্তনের ফলে তা অদৃশ্য হয়েছে।
ডলফিন দুরন্ত গতিতে ছুটে চলতে পারে। অনেক প্রজাতির ডলফিন ঘণ্টায় তিরিশ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এটি জাহাজ, স্পিডবোটের সামনা দিয়ে দল বেঁধে সাঁতার কাটে। সেই দৃশ্য দেখলে মনে হয়, যেন জাহাজ কিংবা স্পিডবোটকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রাণীটি।
সব মিলিয়ে ডলফিনের দাঁত আছে ২৫০টি। মজার ব্যাপার হলো, মানুষের সঙ্গে প্রাণীটি কখনও বিরূপ আচরণ করেছে, এমন কোনো তথ্য আজও পাওয়া যায়নি।
দেড়শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রাজিলের জেলেদের সাহায্য করে আসছে ডলফিন। জালের আশপাশে মাছের ঝাঁক ঘোরাফেরা করতে দেখলেই ডলফিন শব্দ করে খবর পাঠায় জেলেদের, ‘জাল তোলো।’ মাছ ধরা শেষে পুরস্কার হিসেবে জেলেরাও তাদের ঝাঁকা থেকে কিছু মাছ উপহার দিয়ে আসে ডলফিনগুলোকে।
জুনায়েদ তানভীর ১৯/০৭/২০১৩