সর্প টুকিটাকি!!!
সাপ সরীসৃপ প্রানী। সাপকে আমরা বিষাক্ত প্রানী বলেই চিনি। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাপের বিষের চেয়ে ভয় বা আতঙ্কের কারনেই মানুষের মৃত্যু ঘটে বেশি। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ সাপেই বিষ থাকেনা।
“”বিশ্ব্যের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ””
=> ইনল্যান্ড তাইপেন এক ছোবলের বিষ ৬০ থেকে ১০০ লোকের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট
=> ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম সাপ। মুহুর্তের মধ্যে এক সাথে ১২ বার কামরে দিতে পারে
=> পাইথন ২০ ফুট লম্বা দৈত্যাকৃতি। একটি মানুষকে আস্তো গিলে খেতে পারে
=> কালকেটে ১৪ থেকে ১৫ ফুট লম্বা, সবচেয়ে উচু ৩ থেকে ৪ ফুট ফনা তুলে অবলীলায় তেড়ে যেতে পারে
=> ভাইপার এদের কামরে মাংস পর্যন্ত গলে যেতে পারে
=> বেলচার সি স্নেক সমুদ্রে থাকে বলে জেলেরাই এর আক্রমনের শিকার হয় বেশি
=> স্পিতিং কোবরা ৬ ফুট লম্বা দেখতে খুব সুন্দর ডোরাকাটা
=> ব্লু ক্রেইট এরা রাতেই চলাচল করে। এর একটি কামর কয়েক সেকেন্ডেই মৃত্যু ঘটাতে পারে
=> ইস্তার্ন ব্রাউন স্নেক এরা প্রতি দুই কামরে একবার বিষ প্রয়োগ করে]
=> ডেথ এডার ১ সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ সময়ে ছোবল দিয়ে আবার পুর্বের স্থানে ফিরে যেতে পারে
“” আমাদের দেশে সাপ নিয়ে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা””
=> সব সাপের কামরেই মানুষ মারা যেতে পারে
=> কালনাগিনী সাপের কামরে মৃত্যু অনিবার্য
=> সাপের মাথায় মনি থাকে
=> একবার সাপকে আঘাত করলে তাকে চিনে রেখে পরে ছোবল দেয়
=> সাপ দুধ পান করতে পছন্দ করে
=> সাপ দেখলেই মেরে ফেলা উচিত
=> সবচেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে, ‘ওঝার কাছে গেলে সাপে কাটা রোগী ভালো হয়ে যায়
সাপ আমাদের পরিবেশের বন্ধু। সাপ পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা করে। কোন প্রকার আঘাত না পেলে এরা কামরায়না।
সাপের ছোবলে ওঝার কাছে সময় নস্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।