রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই !!
ভারতের বিদ্যুৎসচিব পুমা শংকর বলেছেন, বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ফলে এ এলাকায় দূষণ হবে অনেক কম। তাই সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কাও অনেক কম।
গতকাল বুধবার রামপালের সাপমারী এলাকায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে মংলা বন্দরে অবতরণ করেন ভারতের বিদ্যুৎসচিব পুমা শংকর। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ সরন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আ. ওহাব খানসহ অন্যরা।
পুমা শংকর বলেন, এই এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই-ইলাহী বলেন, আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন হবে। তখন এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে রামপালে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি চুক্তি হয়। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। সরকার আশা করছে, ২০১৬ সালের মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। এদিকে, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সুন্দরবনের কাছে রামপালে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকার সুন্দরবনসংলগ্ন যে জায়গা নির্ধারণ করেছে তা সুন্দরবনের বিপর্যয় ডেকে আনবে। গত মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাটের চুলকাঠি এলাকায় তাঁদের সমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়।