মহাসেন দুর্গতদের ১৩ কোটি টাকা ফেরত গেছে
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে বিধ্বস্ত পটুয়াখালী জেলার গৃহহারাদের পুনর্বাসন ও ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সময় স্বল্পতার কারণে সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব না হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে গত ১৬ মে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গৃহহারা হয় ৬ হাজার ৫শ’ পরিবার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী কলাপাড়া উপজেলায় ২ হাজার ২৩০টি, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ২ হাজার ১৯০টি, গলাচিপায় ৯৭৫টি, সদর উপজেলায় ৪২২টি, বাউফলে ১৬৩টি, দশমিনায় ২৩৪টি, মির্জাগঞ্জে ২২৭টি, দুমকি উপজেলায় ৫৯টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। গত ৯ জুন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদান ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর উক্ত বরাদ্দের টাকা উপজেলাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিকহারে কলাপাড়ায় ৪ কোটি ৪৬ লাখ, রাঙ্গাবালীতে ৪ কোটি ৩৮ লাখ, গলাচিপায় এক কোটি ৯৫ লাখ, পটুয়াখালী সদর ৮৪ লাখ ৪০ হাজার, বাউফলে ৩২ লাখ ৬০ হাজার, দশমিনায় ৪৬ লাখ ৮০ হাজার, মির্জাগঞ্জে ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ও দুমকি উপজেলা ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে ২০ জুনের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বিশেষ অনুদানে বরাদ্দ এ অর্থ ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে ৩০ জুনের মধ্যে ব্যয় করতে না পারায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গত ১ জুলাই বরাদ্দের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন বৈদ্য জানান, বরাদ্দকৃত অর্থ যথাসময়ে জেলার সকল উপজেলায় ক্ষয়-ক্ষতির আনুপাতিকহারে চেকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। তবে সময় স্বল্পতার কারণে ৩০ জুনের মধ্যে বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি পুনর্বাসনের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জেলার সকল উপজেলায় বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। তবে, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে পুনর্বাসনের এ টাকা পুনঃবরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্রঃ http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDdfMTVfMTNfMV8yNV8xXzU2MzQ4