বাঘের জীবনরহস্য উন্মোচন

বাঘ, সিংহ ও পাহাড়ি চিতার ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জিনোম নকশার বিস্তারিত চিত্র বা জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন একদল বিজ্ঞানী। এতে ওই প্রাণী প্রজাতিগুলো সংরক্ষণের চেষ্টায় অগ্রগতি হবে বলে তাঁরা দাবি করছেন। বাঘ কীভাবে শিকারি প্রাণীতে পরিণত হলো এবং প্রচণ্ড শক্তিশালী মাংসপেশি ও বিপুল পরিমাণ আমিষ বিপাকের ক্ষমতা অর্জন করল তা এই গবেষণা থেকে জানা যাবে।  p alo

মজার ব্যাপার হলো, পোষা প্রাণী বিড়ালের সঙ্গে বাঘের প্রায় ৯৬ শতাংশ জিন মিলে যায়।  দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে অবস্থিত পার্সোনাল জিনোমিকস ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী জং ভাক ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সৌদি আরব, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার বিজ্ঞানীরাও এতে অংশ নেন। তাঁরা সাইবেরিয়ার একটি বাঘ প্রজাতির (আমুর টাইগার) জিনোমচিত্রের সঙ্গে একটি সাদা বেঙ্গল টাইগার, একটি আফ্রিকান সিংহ, একটি সাদা আফ্রিকান সিংহ ও একটি পাহাড়ি চিতার জিনোমের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। এতে ওই ভিন্ন প্রজাতিগুলোর মধ্যে জিনগত কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মিল শনাক্ত করা হয়। এদের মাংসপেশির অতি শক্তিশালী গঠন এবং উচ্চমাত্রার আমিষ বিপাকের ক্ষমতার জন্য দায়ী কয়েকটি জিনের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। নেচারকমিউনিকেশনস সাময়িকীতে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, বাঘের নয়টি উপপ্রজাতির মধ্যে চারটিই (জাভান, বালিনিজ, সাউথ চায়না ও কাস্পিয়ান টাইগার) গত শতকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে বুনো বাঘের মোট সংখ্যা তিন হাজার ৫০ থেকে তিন হাজার ৯৫০টির মধ্যে সীমিত রয়েছে। এএফপি।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো (১৯/০৯/২০১৩)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics