বসুন্ধরা ড্রেজিংয়ের প্রশংসা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও
ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটগুলো সচল রাখার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাালন করছে বসুন্ধরা ড্রেজিং কম্পানি লিমিটেড (বিডিসিএল) বাংলাদেশের নৌরুটগুলোর নাব্যতা রক্ষায় সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় বিডিসিএলের কৃতিত্ব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। সম্প্রতি নৌ-খনন প্রকৌশলবিষয়ক বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা অনলাইন সংবাদমাধ্যম ড্রেজিং টুডেডটকমে বিডিসিএলের কৃতিত্বসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদমাধ্যমটিতে বুড়িগঙ্গা নদীর ৩১ হাজার ৫০০ ঘনমিটার বিষাক্ত পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণে বিডিসিএলের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বিডিসিএল বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
বুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা রক্ষা ও একে আবর্জনামুক্ত করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিডিসিএল। প্রকল্পটিতে বিডিসিএলের সহায়তায় জাপান থেকে সংগৃহীত পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি অত্যাধুনিক এস্কেভেটর মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্প্রতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকাসংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের অধীনে বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে কমপক্ষে ৩১ হাজার ৫০০ ঘনমিটার বিষাক্ত পলিথিন ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ। এর ফলে বুড়িগঙ্গা নদী আগের নাব্যতা ফিরে পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তী সময় একই কায়দায় তুরাগ ও বালু নদীর আবর্জনাও অপসারণ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বিডিসিএলের ড্রেজিংবহরের দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ঢাকা সার্কুলার ওয়াটারওয়ে প্রকল্প সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়নে বিডিসিএল সক্ষম।’ তিনি আরো বলেন, ১১ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এর অধীনে দেশের ৫৩টি নদীতে খননকাজ চলানো হবে। এ জন্য শিগগিরই আরো ১১টি অত্যাধুনিক ড্রেজিং মেশিন আমদানি করা হবে। বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুজ্জামান খন্দকার বলেন, বসুন্ধরা ড্রেজিং কম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিএল) সহায়তায় এই প্রথমবারের মতো বিআইডাব্লিউটিএর বহরে তিনটি ‘লং ব্রুম এস্কেভেটর’ যুক্ত হলো। বুড়িগঙ্গার পাশাপাশি একইভাবে রাজধানীসংলগ্ন তুরাগ ও বালু নদী থেকেও ময়লা-আবর্জনা অপসারণের মাধ্যমে এগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।
‘বসুন্ধরা সিএসডি-১’ ও ‘বসুন্ধরা সিএসডি-২’ নামে বিডিসিএলের দুটি ড্রেজিংবহর বর্তমানে সদরঘাট থেকে বিরুলিয়া ও আশুলিয়া নৌরুটের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। ‘ড্রেজিং অন টুয়েলভ ইমপর্টেন্ট রিভার রুট’ নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিআইডাব্লিউটিএ। মূলত এই নৌরুটটি ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা ‘সার্কুলার ওয়াটারওয়ে’ প্রকল্পেরই অংশ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডাব্লিউটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ফিরোজ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আবদুল মতিন এবং পরিচালক (বন্দর) শফিকুল ইসলাম।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ (১৩/০৮/২০১৩)