পিঁপড়া কাহিনী

++ পিঁপড়ার গড় আয়ু সাধারণত ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মতো হয়ে থাকে।

++ পিঁপড়ারা তাদের শুড় দিয়ে শুধুমাত্র বিভিন্ন জিনিস স্পর্শই করে না, বরং বিভিন্ন বস্তুর ঘ্রাণ নেওয়ার কাজটিও তারা এই শুড়ের সাহায্যেই করে।image_42967

++ পিঁপড়ার মাথার অংশে শক্ত চোয়ালের মতো দুটি অংশ থাকে যেটি তারা কাচি দিয়ে কোনো কিছু কাটার মতো করে পাশ থেকে ব্যবহার করে এবং এভাবে বিভিন্ন খাদ্যের রস গ্রহণের চেষ্টা করে।

++ প্রাপ্তবয়স্ক পিঁপড়া কঠিন কোনো খাবার চাবাতে বা গিলতে পারে না। এ কারণে তারা খাবারটির রস গ্রহণ করে এবং খাবারের শুকনো অংশটি মুখ থেকে ফেলে দেয়।

++ পিঁপড়ারা যেখানে বাস করে সেটিকে পিঁপড়া কলোনি বলে। একটি কলোনিতে একজন রানী পিঁপড়া, কয়েকটি ছেলে পিঁপড়া এবং অসংখ্য কর্মী পিঁপড়া থাকে।

++ আর্মি অ্যান্ট নামে পরিচিত দক্ষিণ আমেরিকার একদল পিঁপড়ারা একই কলোনিতে প্রায় সাত লাখের মতো সদস্য নিয়ে বাস করে।

++ কর্মী পিঁপড়ারা রানী আর বাচ্চা পিঁপড়ার দেখাশোনা করে। মাঝ বয়সে ওরা খাবার খুঁজতে বের হয়। আর শেষ বয়সে এই কর্মী পিঁপড়াদের দায়িত্ব হয় সৈনিকের মতো নিজেদের কলোনি পাহাড়া দেওয়া।

++ পিঁপড়ার শরীর থেকে ফেরোমোনেস নামক এক ধরনের গন্ধযুক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। পিঁপড়ারা কোথাও যাওয়ার সময় সারা রাস্তায় এই ফেরোমোনেস লেগে থাকে। পরবর্তী সময় বাড়ি ফেরার সময় এই গন্ধ শুঁকে শুঁকেই এরা নিজেদের কলোনিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক (২৪/০৫/২০১৩)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics