পানি খেতে এসে শিকারীর হামলায় হরিণের মৃত্যু
সীতাকুন্ডে পানি খেতে লোকালয়ে এসে শিকারীদের হামলায় একটি চিত্রা হরিণের করুণ মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উপকূলীয় বন বিভাগ নিহত হরিণটি উদ্ধার করে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসলে পোস্ট মর্টেম শেষে হরিণটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার উক্ত ইউনিয়নের উপকূলীয় ভাটেরখীল গ্রামে পানি খেতে এসে একটি সুবিশাল চিত্রা হরিণ এক কৃষকের জমিতে পেতে রাখা জালে আটকে যায়। এসময় স্থানীয় কিছু লোক হরিণটিকে জবাই করার উদ্দেশ্যে ধরার জন্য ইট পাটকেল ছুঁড়ে কাবু করার চেষ্টা করে। ক্রমাগত আঘাতে ধরাশায়ী হয়ে পড়লে তারা জাল থেকে হরিণটি ছাড়িয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু ভাটেরখীল উপকূলীয় বন বিটের বিট কর্মকর্তা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতীরা সটকে পড়ে। ভাটেরখীল রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা মোঃ হাসান মিয়া বলেন, এই মৌসুমে সাগরের পানি অতিরিক্ত লবণাক্ত হওয়ায় হরিণ সেগুলি পান করতে পারে না। তাই প্রায়ই সেগুলো লোকালয়ে এসে পানি খেয়ে পুনরায় বনে চলে যায়। সম্ভবত এই চিত্রা হরিণটিও পানি খেতে এসে আটকে গেলে কিছু লোক ধরার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আমি তাদের হাত থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এটি বনে ছেড়ে দিয়ে নজরদারিতে রেখেছিলাম। ২ ঘন্টা পর দেখা গেল যেখানে হরিণটি ছাড়া হয়েছিলো সেখানেই বসে রয়েছে এটি। এ থেকে আমরা হরিণটি অসুস্থ বলে বুঝতে পেরে বিকেলের দিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসি। ডাঃ সাহাব উদ্দিন পরীক্ষা করে জানান, আনার পথেই হরিণটি মারা গেছে। ফলে তিনি হরিণটির ময়না তদন্ত শেষে আমাদের তুলে দিলে আমি নিয়ে এসে চামড়াগুলি সংগ্রহে রেখে দেহটি মাটিতে পুঁতে ফেলি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাহাব উদ্দিন বলেন, ময়না তদন্তকালে হরিণটির শরীরে আঘাত ও রক্তক্ষরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। ধারণা করছি হরিণটি কৃষকের জালে আটকের পর কেউ শিকারের উদ্দেশ্যে এর উপর হামলা চালায়। এতেই দারুণ আঘাত পেয়ে কোমল প্রাণীটি মারা যায়
সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব 10.o4.2013