নেকড়ের চিৎকার যেন একদল পিশাচের ডাক
গভীর নিস্তব্ধ রাত, আকাশে থালার মত বিশাল এক চাঁদ। দূরে পাহাড়ের মাঝে একমনে ডেকে চলছে নেকড়ে। একটা দুইটা নয় একদল ভৌতিক এক আভা ছড়িয়ে পড়ছে প্রতি ডাকের সাথে সাথে। নেকড়ের এই ডাক নিয়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা সহ নানা প্রান্তের মানুষ তৈরি করেছে নানান ভৌতিক গল্প, নানান উপকথা, রূপকথা, কিচ্ছা কাহিনী। কেউ এটাকে বলেছে পিশাচের আত্মার ডাক, কেউ ড্রাকুলার রুপ বলেও আখ্যায়িত করেছেন। তাই পূর্নিমা আসলেই মানুষ আর ঘর থেকে বের হত না। নানা ভৌতিক সিনেমায়ও জায়গা করে নিয়েছে নেকড়ের এই অদ্ভুদ ডাক বা চিৎকার।
নেকড়ের এই গা হিম করা ভয়ানক চিৎকার আশেপাশের ডাক মানুষের ঘুম নষ্ট করে দিলেও নেকড়ে কিন্তু এই ডাক ব্যাবহার করে তার অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এবং তাদের টেরিটরি রক্ষা করার জন্য। সাধারণত রাতে শিকার শুরু করার পূর্বে ও পরে তাদের গুহার আশে পাশে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এই যোগাযাগ। শুধু পূর্নিমার রাতে নয় অন্য রাতেও তারা এই চিৎকার করে ডেকে থাকে। তাদের সম্মিলিত এই চিৎকার রাতের নিস্তব্দতাকে ছিন্নভিন্ন করে ছড়িয়ে পরে প্রায় ৫০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে অনেক দূর থেকেও শোনা যায় এই চিৎকার। ছবিঃ ইন্টারনেট
মাইন রানা