নতুন মাইলফলকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
সাইফুর রহমান সুমন
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কথা প্রতিনিয়ত বলে আসছেন পরিবেশবিদরা। বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে জলবায়ু ও দুর্যোগ সংক্রাত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন। খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) এর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সংক্রাত প্রতিবেদন। ২০১৩ সালকে বলা হচ্ছে রেকর্ড সংরক্ষন শুরুর পর থেকে সর্বচ্চ উষ্ণতম বছর। এরই পরিণতিতে দেখা দিচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। বিশ্ব এই সংস্থার প্রতিবেদন মতে এ বছর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে, জলবায়ু হয়েছে সমানুপাতিক হারে চরমভাবাপন্ন।
ফলশ্রুতিতে দেখা দিচ্ছে হাইয়ানের মত শক্তিশালী টাইফুনসহ বেশীসংখ্যক ছোট-বড় ঘূর্ণিঝড়, যা উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন চরম ঝুকির মধ্যে ফেলছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান মাইকেল জারঊড পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে জলবায়ু সম্মেলনে তাঁদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। বিশ্বের অন্তত ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ গ্রহণ করেন। মাইকেল জারঊড আরও বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলো পরোক্ষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জনজীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রেয়েছে। ফিলিপাইনে টাইফুন হাইয়ানের ধ্বংসযজ্ঞ তাই প্রমাণ করেছে।
গত বছর শেষ দিকে ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছিল টাইফুন বোফা। সেই আঘাতের ক্ষয় ক্ষতি সামলে উঠতে না-উঠতেই হাইয়ানের আঘাতে আবারো বিপর্যস্ত হয়েছে দেশটি। ‘হাইয়ান’ বিশ্বে এ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রচন্ড সামুদ্রিক ঝড় এবং ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিংশ শতাব্দীতে প্রতিবছর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে দশমিক শূন্য ৬ ইঞ্চি করে। চলতি বছরের মার্চে তা বেঁড়ে দিগুণ হয়েছে।
গ্রীন হাউজ প্রভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রভিতির কারনে দিন দিন এই মানব গ্রহের উষ্ণতা বেঁড়ে চলেছে, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে গলছে দুই মেরুর বরফ। পরিবেশ সনহশীলতার মাত্রা দিনকে দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে। ফলশ্রুতিতে দেখা দিচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ রয়েছে বাস্ত হারা হওয়ার তীব্র শঙ্কায়।
ক্লাইমেট চেইঞ্জ ডেস্ক
এনভাইরনমেন্ট মুভ ডট কম।