গো-শালিক / Asian Pied Starling
ফসলের মাঠ থেকে খেলার মাঠ , শহরের আবর্জনার স্তূপ থেকে ফলের বাগান সব খানেই যে পাখিটিকে দেখা যায় সেটি আমাদের খুব পরিচিত গো-শালিক- Asian Pied Starling। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই দেখা মেলে এই শালিকের ।
ডানা ও লেজ কালো পালকে ঢাকা । গলা , মাথা ও বুকের উপরের দিকটা কালো ।বুক- পেট সাদা ।ঠোঁটের গোঁরা থেকে চোখের পাশে কমলা রঙ্গের । চোখের পাশে সাদা। সব মিলিয়ে সাদা কালো গো-শালিক ।
গো-শালিক সব ধরনের খাবার খেতে পারে । পাকা ফল থেকে শুরু করে ফলের বীজ, ফসলের ক্ষেতের পোকামাকড় , ব্যাঙ এমনকি ছোট মাছও এর খাদ্য তালিকায় আছে । গো-শালিক সামাজিক পাখি এরা দল বেধে থাকে । গ্রীষ্মের শেষে ও বর্ষার প্রথম দিকে গো-শালিকের প্রজনন মৌসুম । এ সময় গাছে গাছে পাকা ফল থাকে ।এরা গাছের ডালসহ বিদ্যুতের খুঁটিতে বাসা বাধে । গো-শালিক ঘাসপাতা , ধানের ক্ষর এমনকি কাপড় পলিথিন ব্যাবহার করে বাসা বানানোর জন্য । স্ত্রী – পুরুষ দুজন মিলেই কাজ করে । ৪ থেকে ৬ টি পর্যন্ত ডিম দেয় গো-শালিক ।
গো-শালিক আমাদের কৃষি ফসলের জন্য খুবি উপকারী পাখি । ফসল রোপণ থেকে ফসল কাঁটা পর্যন্ত সব ধরনের পোকামাকড় গো-শালিক পাখিকে খেতে দেখা যায় । তা ছাড়া ফসলের জমি চাষের সময় মাটির নিচ থেকে বেড়িয়ে আসা পোকামাকড় খেয়ে গো-শালিক আমাদের অনেক উপকার করছে ।
কিন্তু আমরা এই উপকারী পাখীটিকে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছি । ফলের গাছ কেটে লাগাচ্ছি আকাশমণি ,ফলে আবাস ও খাদ্যাভাবে পরছে পাখিরা । সেই সাথে ফসলের ক্ষেতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যাবহারের ফলে পোকামাকড় খেয়ে, উপকারী এই পাখিরা মারা যাচ্ছে । আমাদের এই অসচেতনটার ফলে বিপন্ন হচ্ছে প্রাণীকুল বিপন্ন হচ্ছে প্রকৃতি । বিপন্ন হচ্ছি আমরা নিজেরাই ।
লেখা ও ছবি – ঋজু আজম ।